একাত্তরে বন্দি মুজিব : পাকিস্তানের মৃত্যুযন্ত্রণা

৳  400.00

প্রকাশক: সূচীপত্র

“একাত্তরে বন্দী মুজিব : পাকিস্তানের মৃত্যুযন্ত্রণা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:

নির্জন। নিঃসঙ্গ। বিভীষিকা। মৃত্যুকূপ যেন! বাঙালী জাতিরাষ্ট্রের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্দী। বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ ঘােষণা, পরিচালনা, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযােগে অভিযুক্ত। সামরিক ট্রাইবুনালে বিচারের সময় ইয়াহিয়া খানের ২৬শে মার্চের ভাষণ শােনানাে হলাে। তিনি বললেন: এই যদি অভিযােগ, তাহলে আমার কোনাে আইনজীবির প্রয়ােজন নেই। তবুও রাষ্ট্রপক্ষ এ. কে. ব্রোহীকে নিয়ােগ দিলাে। বঙ্গবন্ধু বললেন: এসবের প্রয়ােজন নেই। ইয়াহিয়া খান ঘােষণা করেছেন ‘মুজিবকে শাস্তি পেতেই হবে। প্রধান। সামরিক আইন প্রশাসক তার নিয়ােজিত মিলিটারি কোর্ট। ক্যামেরা ট্রায়াল। প্রিজাজড রায় লিখিত। এ ক্ষেত্রে বিচার হবে প্রহসন। সেলের সামনে কবর খোঁড়া শেষ। অন্যদিকে বিশ্বজনমতের চতুর্ভূজ চাপ: মুজিবকে মুক্তি দিতে হবে।
বাংলাদেশকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। পাকিস্তান পরাজিত। লন্ডভন্ড। ইয়াহিয়া খান বন্দী। ভুট্টো ক্ষমতা দখল করলেন। বঙ্গবন্ধুকে বললেন, ‘লেস দ্যান লুজ কনফেডারেশন, যৌথ বিবৃতি, টাইপ করা কাগজ তার হাতে। চারপাশে উদ্যত সঙ্গীন। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমাকে গুলি করতে পারাে, মেরে ফেলতে পারাে, কিন্ত আমার কোন সম্মতি এতে পাবে না। আগে দেশে যাবাে। জনগণের কাছে শুনবাে।’ অনমনীয় । গ্রেফতারের পূর্বেই যিনি বলেছিলেন, “যে মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত, কেউ তাকে মারতে পারে না।” বইটিতে মৃত্যু-সেল থেকে জেলার হাবিব কী করে গােপনে তার বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এলেন, ভুট্টোর সঙ্গে সংলাপের গােপন টেপ, খসড়া জবানবন্দীর ছিন্নপত্র ও জাতিক-আন্তর্জাতিক চতুর্ভূজ ষড়যন্ত্র ও প্রভাব সবই ইতিহাসের রহস্য ঘেরা চমকপ্রদ ঘটনাবলি আলােচিত।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “একাত্তরে বন্দি মুজিব : পাকিস্তানের মৃত্যুযন্ত্রণা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *