কথায় বলে ‘নাই কাজ তো খই ভাজ’। সেই কাজটিই করেছেন চৌধুরী শামসুদ্দীন। তাঁর ‘খই ভাজা’ অবসরের ফাঁকে ফাঁকে লিখিত কতিপয় সুচিন্তিত ও পরিপক্ব সাধুবাক্যের সমাহার। এই সমাহারে যা সংযোজিত হয়েছে তা লেখকের বিবেচনায় প্রবন্ধও নয় আবার গল্পও নয়। তবে অপুষ্টিকরও নয়। সর্বৈব সাহিত্যমানউত্তীর্ণ না হলেও সাহিত্যবিবর্জিত উপাদানও বলা যাবে না। আমরা জানি সমাজের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানই কালক্রমে প্রবাদ-প্রবচনে পরিণত হয়। আর এই প্রবচনের মধ্যেই প্রতিফলিত হয় মানবাচরণের চারিত্রিক দর্পণ, উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে মৌলিক মানস। ‘খই ভাজা’য় প্রতিবিম্বিত হয়েছে সেই মানস। এই মানস দর্পণের পাশাপাশি উঠে এসেছে সমাজের নানা মুখ-মুখশ্রীর অনুপুঙ্খ চালচিত্র- সর্বোপরি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের স্বাপ্নিক সময়ের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির তথা মূল্যবোধের এক মূর্তমান অবয়ব।
লে খ ক প রি চি তি
চৌধুরী শামসুদ্দীন
জন্ম সুনামগঞ্জ জেলার গচিয়া ১৯৬১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। পিতার নাম আনোয়ার রাজা চৌধুরী। শৈশব গ্রামে কাটলেও স্বাধীনতা-পরবর্তী ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস এবং বেড়েওঠা ঢাকাতেই। বিজ্ঞানে স্নাতক। কর্মজীবন শুরু ব্র্যাক-এ। বছর পাঁচেক কাজ করার পর দেশ ছেড়ে স্থায়ী বসতি গড়েন লন্ডনে। লেখালেখিতে হাতেখড়ি নাই, ‘আঙুলখড়ি’ বা ‘মুখবই’ অর্থাৎ ফেসবুকে ছোট ছোট লেখার মাধ্যমে। বাড়িতে পারিবারিক পাঠাগার থাকাতে শৈশব থেকেই সামান্য পাঠাভ্যাস ছিল। হয়তো এ কারণেই করোনাকালীন ঘরে বসে থাকার সময় এ লেখাগুলির জন্ম। বলা যায় অবসর সময়ে সৃজন-প্রয়াস। এ প্রয়াসেরই সমন্বিত সংকলন ‘খই ভাজা’।
Reviews
There are no reviews yet.